আলমগীর কবীর
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজারস্থ মির্জাপুর সি এন জি পাম্প সংলগ্ন খোলা মাঠে প্রতিবারের ন্যায় এবারও কোরবানীর পশু ক্রয় বিক্রয়ের হাট বসানো অনুমতি দেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র ।স্থানীয় ও আশপাশের কোরবানী দাতাদের এবং বিক্রয়কারীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে স্থানীয় আওয়মীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকমীদের সমন্বয়ে হাট পরিচালনা কমিটি করে ৩০জনকে অংশীদার করা হয় ।গত এক সপ্তাহ থেকে শুরু করে ঈদের আগের দিন শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১.০০টায় চুড়ান্ত হিসাব নিয়ে বসেন হাজ্বী আব্দুর রশীদ ,সাবেক চেয়ারম্যন ,গাছা ইউ পি, হাজ্বী আব্দুল কাদির,সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি,গাছা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ,জালাল উদ্দিন সরকার ,বীর মুক্তিযোদ্ধা গাছা থানা আওয়ামীলীগ নেতা,রুবেল খাঁন মন্টু ও ৩৫নং ওযার্ড আওযামীলীগ নেতা মোস্তফা কামালসহ কয়েকজন । বাকী অংশীদারগণ চুড়ান্ত হিসেবের অপেক্ষা করতে থাকেন । দীর্ঘ সময় নিয়ে হিসেব নিকাশ করে চুড়ান্ত লাভ লোকসান প্রকাশ করার আগ মহুর্তে অপেক্ষমান অংশীদারগণ খরচের খাতগুলো জানতে চাইলে গোজামিল হিসেবের চিত্র বেরিয়ে আসে ।
গোজামিল হিসেবগুলোর মধ্যে নিম্নে কয়েকটি উল্রেখিত ;
১/ ছয় গাড়ী বালুর স্থলে লেখা হয়েছে ১২ গাড়ীর টাকা ।
২/ বিশ জন লেবারের স্থলে ৪০ জন লেবারের টাকা লেখা হয়েছে
৩/অতিথি আপ্যায়ন লেখা হয়েছে ৩০.০০০ (ত্রিশ হাজার টাকা মাত্র)
৪/ খাবারের বিল বাবদ ২,০০,০০০( দুই লাখ টাকা মাত্র)
৫/পশুর হাট ম্যানেজ বাবদ ৫,০০,০০০ (পাঁচ লাখ টাকা মাত্র)
৬/সাংবাদিকদের সন্মানী বাবদ ৭০,০০০(সত্তর হাজার টাকা মাত্র)।
উল্লেখিত ভূয়া,অসামজ্ঞস্যপুর্ণ হিসেব দেখে কমিটির অন্যান্য অংশীদারগণ বিক্ষুদ্ধ হন ।
এক পর্যায়ে রাত ৪.০০টার দিকে তুমুল আকারে বাকবিতন্ডা শুরু হয় উভয় পক্ষের মাঝে । উপস্থিত মর্হুতে পরিবেশ উতপ্ত হতে শুরু করলে হিসেব নিদ্ধারণকারী মোস্তফা কামাল উক্ত স্থান থেকে পলায়ন করেন এবং বাকীরা নিজনিজ অবস্থান থেকে দ্রুত সটকে পড়েন ।
এদিকে উল্লেখিত ঘটনার সত্যতা জানতে কমিটির সভাপতি হাজ্বী আব্দুর রশীদ ,সাবেক চেয়ারম্যান গাছা ইউ পি কে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই,আব্দুল কাদির ,মোস্তফা কামাল,মন্টু খাঁনসহ আরও কয়েকজনকে ফোন দিলে কেউ ফোন রিসিভ করেন নাই । অপরদিকে বোর্ড বাজারের গাছা থানা আওয়ামী যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন ও গাছা থানা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বিল্লাল হোসেন জানান, ঘটনা সত্য ,ফেইস বুকে ঘটনার ভিডিও লাইভ হয়েছে । সাংবাদিকদের সন্মানী ভাতা নামে ৭০,০০০(সত্তর হাজার ) টাকার ভুয়া বিল ভাউচার সহ ্অন্যান্য খরচের খাত দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার ভূয়া বিল ভাউচার তৈরি করে টাকা মেরে দিয়েছেন তারা ।দেলোয়ার আরও জানান, সঠিক হিসাব ও সুষ্ঠ সমাধান করার জন্য আগামী রবিবার বসার জন্য সময় নির্দ্ধারণ করেছেন ।